Saturday, October 12

আর কিছু দিন পর ঈদ-উল-আযহা । এই ঈদটাকে বিশেষ করেছে কুরবানী ।কিন্তু কেমন পশু কিনবেন কুরবানীর জন্য ।কুরবানীর পশু কেনার আগে জেনে নিন এ বিষয়ে সব কিছু !!!

বিসমিল্লাহির রহমানীর রাহীম


আসসালামু আলাইকুম।

আগামী ১৬ তারিখে ঈদ-উল-আযহা । তাই তো সবাই ঈদের কেনাকাটা করতে অনেক ব্যস্ত।কেনাকাটাতো করবেনি কারন ঈদটা তো হল আযহা ।আর ঈদ-উল-আযহা মানেই তো কুরবানী ।কুরবানী জন্যই তো এই ঈদটা এতোটা আনন্দের একটা দিন ।এই ঈদটা অন্য সব উৎসব থেকে ভিন্ন । এই দিনটা শুধু আমাদের কাছেই সেরা দিন না মহান আল্লাহ্‌র কাছেও ।আব্দুল্লাহ ইবনে কুত রা. থেকে বর্ণিত যে, প্রিয় নবী (সাঃ) বলেছেনঃ আল্লাহ্‌র নিকট দিবস সমূহের মাঝে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ দিন হোল কোরবানীর দিন, তারপর পরবর্তী তিনদিন ।

তাই কেনাকাটার সকল ব্যস্ততার মাঝেও আমাদের কুরবানী পশু কিন্তেই হবে।কুরবানী পশু কেনার আগে এবং কুরবানী দেবার আগে আমাদের কুরবানীসম্পর্কে খুব ভালোভাবে জানা উচিৎ।

আমরা হয়ত অনেকে কুরবানীর পশু কিনে ফেলেছি আবার হয়ত অনেকে কিছু দিনের মধ্যে কিনবো ঠিক করেছি ।আমার মনে হয় আমরা যারা কুরবানীর পশু কিনে ফেলেছি এবং যারা এখনো কিনেনি, তাদেরকে এই পোষ্টটা সামান্য হলেও নতুন কিছু ধারনা দিবে ।



কুরবানীর পশু :

উঠ, গরু, বকরী, মহিষ, ছাগল, ভেরা, দুম্বা ছাড়া কুরবানী শুদ্ধ নয়।এ গুলোকে কোরআনের ভাষায় বলা হয় “বাহীমাতুলআনআম” ।



শরিয়তের দৃস্টিতে কুরবানীর পশুর বয়সের দিকটা খেয়াল রাখা জরুরী।উঠ পাঁচ বছরের, গরু বা মহিষ দু বছরের এবং , ছাগল, ভেরা, দুম্বা এক বছর বা তারো বেশি।



আনাস রাদিআল্লাহু আনহুর হাদীসে রয়েছে, যা বুখারী ও মুসলিম বর্ণনা করেছেন।তারা বলেন : রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম তরতাজা ও শিং ওয়ালা দুটি মেষ নিজ হাতে যবেহ করেছেন এবং তিনি তাতে বিসমিল্লাহ ও তাকবীর বলেছেন।



হযরত আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, প্রিয় নবী (সাঃ) আমাদেরকে নির্দেশ করেছেন যে, আমরা কোরবানীর পশুর চোখ ও কান ভালভাবে পরীক্ষা করে নেই এবং এমন পশু কোরবানী না করি যার কানে ছিদ্র আছে (তিরমিযী শরীফ)।


ভাগে কুরবানী দেয়া :

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, হে জনগণ! নিশ্চয় প্রত্যেক পরিবারের উপরে প্রতি বছর একটি করে কুরবানী (তিরমিযী, আবুদাঊদ, নাসাঈ, ইবনুমাজাহ, মিশকাতহা)



জাবিররা. বলেন, আমরা হজ্বের ইহরাম বেঁধে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে বের হলাম।তিনি আমাদেরকে আদেশ করলেন যেন আমরা প্রতিটি উট ও গরুতে সাত জন করে শরীক হয়ে কুরবানী করি। (সহীহমুসলিম১/৪২৪)



নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, (একটি) গরু সাত জনের পক্ষ হতে এবং (একটি) উট সাত জনের পক্ষ হতে (কুরবানী করা যায়)।-সুনানে আবু দাউদ২/৩৮৮



কুরবানী শুদ্ধ হওয়ার জন্য ত্রুটিমুক্ত পশুহওয়া জরুরী :

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহওয়া সাল্লাম বলেছেন : কুরবানীর পশুতে চারটি দোষ সহনীয় নয় : স্পষ্ট কানা, স্পষ্ট অসুস্থ্য, হাড্ডিসার ও ল্যাংড়া পশু। (তিরমিযী : কিতাবুলহজ : ৩৪)



মহান আল্লাহ্‌ আমাদের সবাইকে সঠিক কুরবানীর পশু কেনার তৌফিক দাও (আমীন)।

0 মন্তব্য:

Post a Comment