আমার ২২তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা !!!;

আমার জন্য সব্বাই দোয়া করবেন !

এই রমযান থেকে পরের রমযান । কি করবো আর কি করবো না । ei romjan theke porer romjan.

এই রমযান থেকে পরের রমযানের পূর্ব পর্যন্ত আমরা কি করবো আর কি করবো না এই সব কিছু জানতে শুনুন এই অডিও ফাইলটি ।

www.kzapu.blogspot.com

Coming Soon..............

রমযানকে জানুন পরিপূর্ণ ভাবে! কাযা রোজা, ফিদিয়া এবং কাফফারা । A Complete Interview with Dr Zakir Nayek.

কাযা রোজা, ফিদিয়া এবং কাফফারা সম্পর্কে জানতে শুনুন এই অডিও ফাইলটি ।

Wednesday, September 16

কোরবানি সম্পর্কে জানুন পরিপূর্ণ ভাবে ! কোরবানি সম্পর্কে একটি পূর্ণাঙ্গ গাইড । A complete note on Qurbani /Sacrificial.

বিস্‌মিল্লাহির রাহ্‌মানির রাহিম



আসসালামু আলাইকুম

পবিত্র ঈদ-উল-আযহা'র শুভেচ্ছা ...।

আর কিছু দিন পরেই ঈদ-উল-আযহা ।সবাই ঈদের কেনাকাটা করতে অনেক ব্যস্ত ।তাও আবার ঈদ-উল-আযহা, আর ঈদ-উল-আযহা মানেই তো কুরবানী ।কুরবানী জন্যই তো এই ঈদটা এতোটা আনন্দের একটা দিন ।এই দিনটা শুধু আমাদের কাছেই সেরা দিন না মহান আল্লাহ্‌র কাছেও ।আব্দুল্লাহ ইবনে কুত রা. থেকে বর্ণিত যে, প্রিয় নবী (সাঃ) বলেছেনঃ আল্লাহ্‌র নিকট দিবস সমূহের মাঝে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ দিন হোল কোরবানীর দিন, তারপর পরবর্তী তিনদিন ।

তাই কেনাকাটার সকল ব্যস্ততার মাঝেও আমাদের কুরবানী পশু কিন্তেই হবে । কুরবানী পশু কেনার আগে এবং কুরবানী দেবার আগে আমাদের কুরবানী সম্পর্কে খুব ভালো ভাবে জানা উচিৎ ।তাই কুরবানী সম্পর্কে আপনাদের সামান্য ধারনা দেবার জন্য আমার আজকের এই পোষ্ট ।আশা করি এই পোষ্টি সামান্য হোলেও আপনাদের কুরবানী সম্পর্কে ধারনা দেবে ।






কখনই আল্লাহর নিকট পৌঁছায় না এগুলোর গোশত ও রক্ত, বরং পৌঁছায় তোমাদের তাকওয়া ।এভাবে তিনি এগুলোকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন যাতে তোমরা আল্লাহ্‌র শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করো এজন্য যে, তিনি তোমাদের পথ-প্রদর্শন করেছে; সুতরাং আপনি সুসংবাদ দিন সৎকর্মপরায়ণদেরকে ।



অতএব তোমরা রবের উদ্দেশ্যেই সালাত পড় এবং নহর কর। (কাউসার : ২)
আর কুরবানীর উটকে আমি তোমাদের জন্য আল্লাহর অন্যতম নিদর্শন বানিয়েছি। (হজ : ৩৬)


প্রিয় নবী (সাঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সঙ্গতি থাকা সত্ত্বেও কোরবানী করল না সে যেন আমার ঈদগাহে না আসে।




Their flesh reaches not Allah, nor does their blood, but it is your righteousness that reaches Him. Thus has He subjected them to you, that you may glorify Allah for His guiding you. And give glad tidings to those who do good.





কোরবানীর পরিচয় :

 কুরবানী আরবী শব্দ। এর অর্থ হচ্ছে অতিশয় নিকটবর্তী হওয়া। ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় কোরবানী বলা হয় ঐ নির্দিষ্ট জন্তুকে যা একমাত্র আল্লাহপাকের নৈকট্য ও সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশে নির্দিষ্ট সময়ে একমাত্র আল্লাহর নামে জবেহ করা হয়।



ঐতিহাসিক পটভূমি : 

আল্লাহতায়ালা মুসলিম জাতির পিতা হযরত ইব্রাহিম (আঃ) কে অনেকবার পরীক্ষা করেছেন। সকল পরীক্ষায় তিনি অত্যন্ত সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হয়েছেন। একরাতে তিনি স্বপ্নে দেখলেন, আল্লাহপাক তাকে ইঙ্গিত করেছেন প্রাণধিক পুত্র হযরত ইসমাঈল (আঃ) কে কোরবানী করতে। বৃদ্ধ বয়সের একমাত্র সন্তান হযরত ইসমাঈল (আঃ)-এর অপেক্ষা অধিকতর প্রিয় আর কি হতে পারে। তিনি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সিদ্ধান্তে পৌঁছলেন যে, হযরত ইসমাঈল (আঃ) কে কোরবানী করবেন। তখন তিনি হযরত ইসমাঈল (আঃ) বললেন, যা পবিত্র কোরআনে এভাবে বর্ণিত হয়েছেঃ “হে বৎস! আমি স্বপ্নে দেখেছি যে, তোমাকে আমি জবাই করছি। এখন তোমার অভিমত কি?” সে (হযরত ইসমাঈল (আঃ)) বলল, “হে পিতা! আপনি যা আদিষ্ট হয়েছেন তাই করুন। আল্লাহ চাহেতো আপনি আমাকে ধৈর্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত পাবেন।” (সূরা সফফাত আয়াত-১০২)। ছেলের সাহসিকতাপূর্ণ জবাব পেয়ে হযরত ইব্রাহীম (আঃ) অত্যন্ত খুশি হলেন। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ছেলের গলায় ছুরি চালান। তখন হযরত জিব্রাইল (আঃ) আল্লাহর নির্দেশে বেহেশত হতে একটা দুম্বা নিয়ে রওয়ানা হলেন। তার মনে সংশয় ছিল পৃথিবীতে পদার্পণের পূর্বেই হযরত ইব্রাহীম (আঃ) যবেহ কাজ সম্পূর্ণ করে ফেলবেন। তাই জিবরাইল (আঃ) আকাশ হতে উচ্চৈস্বরে ধ্বনি দিতে থাকেন “আল্লাহু আকবার”। আওয়াজ শুনে হযরত ইব্রাহীম (আঃ) স্বতঃস্ফূর্তভাবে বলে উঠলেন, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার”। পিতার মুখে তাওহীদের বাণী শুনতে পেয়ে হযরত ইসমাঈল (আঃ) বলে উঠলেন আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিলহামদ”। আল্লাহর প্রিয় দুই নবী এবং হযরত জিবরাইল (আঃ)-এর কালামগুলো আল্লাহর দরবারে এতই পছন্দনীয় হলো যে, কিয়ামত পর্যন্ত এই কথাগুলো ৯ই জিলহজ্ব ফজর থেকে আসর পর্যন্ত বিশেষ করে ঈদুল আযহার দিনে বিশ্ব মুসলিমের কণ্ঠে উচ্চারিত হতে থাকবে।

আল্লাহপাকের অসীম কুদরতে হযরত ইসমাঈল (আঃ)-এর পরিবর্তে কোরবানী হয়ে গেল একটি বেহেস্তী দুম্বা। কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন হযরত ইব্রাহীম (আঃ)। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ পবিত্র কালামে ঘোষণা করেনঃ “তখন আমি তাকে ডেকে বললাম, হে ইব্রাহীম! তুমি তো স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করেছ। আমি এভাবেই সৎকর্মশীলদের প্রতিদান দিয়ে থাকি। নিশ্চয় এটা একটা সুস্পষ্ট পরীক্ষা। আমি তার (ইসমাঈল (আঃ)-এর পরিবর্তে দিলাম জবেহ করার জন্য এক মহান জন্তু।” (সূরা সাফফাত আয়াত-১০৪-১০৭)। বর্ণিত আছে যে, হযরত ইব্রাহীম (আঃ) উপরোক্ত গায়েবী আওয়াজ শুনে হযরত জিবরাইল (আঃ)কে একটি বেহেস্তী দুম্বাসহ দেখতে পান। এ জান্নাতী দুম্বা হযরত ইব্রাহীম (আঃ) কে দেয়া হলে তিনি আল্লাহর নির্দেশে পুত্রের পরিবর্তে সেটি কোরবানী করলেন। আর তখন থেকেই শুরু হলো কোরবানীর মহান বিস্ময়কর ইতিহাস। যা অন্ততকাল ধরে সুন্নতে ইব্রাহীম হিসেবে বিশ্বের সকল মুসলমানের কাছে আজও স্মরণীয় হয়ে আছে এবং কিয়ামত পর্যন্ত থাকবে।




কোরবানীর তাৎপর্য ও ফজিলত :

 কোরবানীর তাৎপর্য ও ফজিলত সম্পর্কে বহু হাদীস পাওয়া যায়। হযরত যায়েদ ইবনে আরকাম (রাঃ) বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা কতিপয় সাহাবী প্রিয় নবী (সাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসূল!, কোরবানী কি? প্রিয় নবী (সাঃ) বললেন, তোমাদের (জাতির) পিতা হযরত ইব্রাহীম (আঃ)-এর সুন্নত। পুনরায় প্রশ্ন করা হলো, এতে আমাদের জন্য কি আছে? রাসূলে পাক (সাঃ) বললেন, কোরবানী গরু ও বকরীর প্রতিটি পশমে নেকী রয়েছে। তখন সাহাবায়ে কেরাম আবার জিজ্ঞেস করলেন, তাহলে ভেড়া ও দুম্বার ব্যাপারে আপনার অভিমত কি? তিনি উত্তরে বললেন, ভেড়া ও দুম্বার পশমেও ছওয়াব আছে। (আহমাদ, ইবনে মাযাহ, মিশকাত-১২৯)।

অন্য এক হাদীসে বর্ণিত আছে যে, কোরবানীর পশু পুলসীরাতের উপর তোমাদের বাহন হবে। তাই তোমরা মোটা তাজা পশু কোরবানী কর।

তারগীব নামক গ্রন্থে উল্লেখ আছে একবার হযরত নবী করিম (সাঃ) স্বীয় কন্যা ফাতেমাকে (রাঃ) ডেকে বললেন “হে ফাতেমা! তুমি তোমার কোরবানীর জন্তুর নিকট যাও কেন না কোরবানীর জন্তু জবেহ করার পর রক্তের ফোঁটা মাটিতে পড়ার সাথে সাথে তোমার যাবতীয় গোনাহ মাফ হয়ে যাবে।” হযরত ফাতেমা (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ! এটা কি শুধু আমার জন্য? প্রিয় নবী (সাঃ) জবাব দিলেন “এটা সকল মুসলমানের জন্য”

হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, প্রিয় নবী (সাঃ) এরশাদ করেছেন, আদম সন্তান কোরবানীর দিন যেসব নেকীর কাজ করে থাকে তন্মধ্যে আল্লাহতায়ালার নিকট সবচেয়ে পছন্দীয় আমল হলো কোরবানী করা। কেয়ামতের দিন কোরবানীর পশু তার শিং, পশম ও খুরসহ উপস্থিত হবে এবং কোরবানীর রক্ত জমিনে পড়ার পূর্বেই তা আল্লাহর নিকট কবুল হয়ে যায়। অতএব, তোমরা এ পুরস্কারে আন্তরিকভাবে খুশী হও। (তিরমিযী, ইবনে মাযাহ্‌, মিশকাত-পৃ-১২৮)।




কোরবানির পশু :  

উঠ, গরু, বকরী, মহিষ, ছাগল, ভেরা, দুম্বা ছাড়া কুরবানী শুদ্ধ নয়।এ গুলোকে কোরআনের ভাষায় বলা হয় “বাহীমাতুল আনআম” ।

শরিয়তের দৃস্টিতে কুরবানীর পশুর বয়সের দিকটা খেয়াল রাখা জরুরী । উঠ পাঁচ বছরের, গরু বা মহিষ দু বছরের এবং , ছাগল, ভেরা, দুম্বা এক বছর বা তারো বেশি । 

আনাস রাদিআল্লাহু আনহুর হাদীসে রয়েছে, যা বুখারী ও মুসলিম বর্ণনা করেছেন। তারা বলেন :

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তরতাজা ও শিং ওয়ালা দুটি মেষ নিজ হাতে যবেহ করেছেন এবং তিনি তাতে বিসমিল্লাহ ও তাকবীর বলেছেন

হযরত আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, প্রিয় নবী (সাঃ) আমাদেরকে নির্দেশ করেছেন যে, আমরা কোরবানীর পশুর চোখ ও কান ভালভাবে পরীক্ষা করে নেই এবং এমন পশু কোরবানী না করি যার কানে ছিদ্র আছে (তিরমিযী শরীফ)।


কুরবানী শুদ্ধ হওয়ার জন্য ত্রুটি মুক্ত পশু হওয়া জরুরী :
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়াসাল্লাম বলেছেন : কুরবানীর পশুতে চারটি দোষ সহনীয় নয় : স্পষ্ট কানা, স্পষ্ট অসুস্থ্য, হাড্ডিসার ও ল্যাংড়া পশু। (তিরমিযী : কিতাবুল হজ : ৩৪)



গরুর বয়স জানার উপায় : 



গরুর জন্ম থেকে এক মাস বয়সের মাঝে অস্থায়ী দাঁত উঠতে শুরু করে। এক মাসের মধ্যে নিচের পাটির সামনের আটটা অস্থায়ী দাঁত উঠে যায়। -এক বছর বয়সে সামনের মাঝের দুটো অস্থায়ী দাঁত পড়ে যায় ও সেখানে স্থায়ী দুটো দাঁত ওঠে যেগুলো আকারে পাশের দাঁতগুলোর থেকে বড়। দুই বছর বয়সের মাঝে এই দুটো দাঁত বেশ বড় আকার ধারণ করে। -দুই বছর থেকে আড়াই বছরের মাঝে সামনের দুইটা দাঁতের দুই পাশে আরও একটা করে স্থায়ী দাঁত ওঠে ফলে সামনে স্থায়ী দাঁতের সংখ্যা হয় চারটা। তিন বছরের মাঝে এই পাশের দুইটা দাঁতও সম্পূর্ণ আকৃতি ধারণ করে। -তিন বছরের মাঝে পাশে আরও দুইটা দাঁত ওঠে ফলে সামনে স্থায়ী দাঁতের সংখ্যা হয় ছয়টা। সাড়ে তিন বছরের মাঝে এই দুটা পূর্ণ আকৃতি ধারণ করে। -চার থেকে পাঁচ বছরের মাঝে সামনে আটটা স্থায়ী দাঁতই উঠে যায়। -পাঁচ থেকে ছয় বছর বয়সে একেবারে সামনের দুটো দাঁত ক্ষয় হতে হতে সমান হয়ে যায় এবং পাশের বাকি দাঁতগুলোতেও ক্ষয়ের চিহ্ন দেখা যায়। -সাত থেকে দশ বছর বয়সে গরুর সামনের এই দাঁতগুলোর ক্ষয়ের পরিমাণ এতটাই বেশি দেখা যায় যে এগুলো ভাঙ্গা ভাঙ্গা মনে হয়। -দশ থেকে বারো বছরের মাঝে এই দাঁতগুলো ক্ষয় হতে হতে তিনকোণা হয়ে যায় এবং এদের মাঝে বেশ দূরত্ব তৈরি হয়।




যবেহ করার সময় :

ঈদের সালাতের পর কুরবানীর সময় শুরু হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :

যে সালাতের পূর্বে যবেহ করল, সে নিজের জন্য যবেহ করল। আর যে খুতবা ও ঈদের সালাতের পর কুরবানী করল, সে তার কুরবানী ও সুন্নত পূর্ণ করল। (বুখারী ও মুসলিম)

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
যে ব্যক্তি ঈদের আগে যবেহ করল, তার উচিত তার জায়গায় আরেকটি কুরবানী করা। আর যে এখনো কুরবানী করেনি, তার উচিত এখন কুরবানী করা। (বুখারী ও মুসলিম)

যে সুন্দর করে যবেহ করার ক্ষমতা রাখে তার উচিত নিজ হাতে কুরবানী করা। কুরবানীর সময় বলবে : 

কুরবানীকারী নিজের নাম বলবে অথবা যার পক্ষ থেকে করবানী করা হচ্ছে তার নাম বলবে । যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :

বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার; হে আল্লাহ, এটা আমার পক্ষ থেকে এবং আমার উম্মতের মধ্যে যারা কুরবানী করেনি, তাদের পক্ষ থেকে। (আবূদাউদ ও তিরমিযী)




কোরবানির পশু জবেহ করার নিয়মাবলি :

 কোরবানি দাতা নিজের কোরবানির পশু নিজেই জবেহ করবেনযদি তিনি ভালভাবে জবেহ করতে পারেনকেননা রাসূলুল্লাহ সানিজে জবেহ করেছেন আর জবেহ করা আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জনের একটিমাধ্যম তাই প্রত্যেকের নিজের কোরবানি নিজে জবেহ করার চেষ্টা করা উচিত

ইমাম বোখারি রহবলেছেন : ‘সাহাবি আবু মুসা আশআরী রানিজের মেয়েদের নির্দেশ দিয়েছেন তারাযেন নিজ হাতে নিজেদের কোরবানির পশু জবেহ করেন [ফাতহুল বারী ১০/২১তার  নির্দেশদ্বারা প্রমাণিত হয় মেয়েরা কোরবানির পশু জবেহ করতে পারেন তবে কোরবানি পশু জবেহ করার দায়িত্বঅন্যকে অর্পণ করা জায়েজ আছে কেননা সহিহ মুসলিমের হাদিসে এসেছে রাসূলুল্লাহ সাতেষট্টিটিকোরবানির পশু নিজ হাতে জবেহ করে বাকিগুলো জবেহ করার দায়িত্ব আলী রা.-কে অর্পণকরেছেন [মুসলিম- ১২১৮]



জবেহ করার সময় যে সকল বিষয় লক্ষণীয় :

(যা জবেহ করা হবে তার সাথে সুন্দর আচরণ করতে হবেতাকে আরাম দিতে হবে যাতে সে কষ্ট না পায়সে দিকে লক্ষ রাখতে হবে হাদিসে এসেছে ,সাহাবি শাদ্দাদ ইবনে আউস রাথেকে বর্ণিত যে নবী কারীম .বলেছেন : আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সকল বিষয়ে সকলের সাথে সুন্দর  কল্যাণকর আচরণেরনির্দেশ দিয়েছেন অতএব তোমরা যখন হত্যা করবে তখন সুন্দরভাবে করবে আর যখন জবেহকরবে তখনও তা সুন্দরভাবে করবে তোমাদের একজন যেন ছুরি ধারালো করে নেয় এবং যাজবেহ করা হবে তাকে যেন প্রশান্তি দেয় [মুসলিম-১৯৫৫]

(যদি উট জবেহ করতে হয় তবে তা নহর করবে নহর হল উটটি তিন পায়ের উপর দাঁড়িয়ে থাকবে আরসম্মুখের বাম পা বাধা থাকবে তার বুকে ছুরি চালানো হবে কেননা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনবলেছেন:‘সুতরাং সারিবদ্ধভাবে দণ্ডায়মান অবস্থায় তাদের উপর তোমরা আল্লাহর নাম উচ্চারণ কর’ [সূরা হজ : ৩৬]

ইবনে আব্বাস রাবলেন : এর অর্থ হল তিন পায়ে দাঁড়িয়ে থাকবে আর সামনের বাম পা বাধা থাকবে[তাফসীর ইবনে কাসির]


উট ছাড়া অন্য জন্তু হলে তা তার বাম কাতে শোয়াবে ডান হাত দিয়ে ছুরি চালাবে বাম হাতে জন্তুর মাথাধরে রাখবে মোস্তাহাব হল জবেহকারী তার পা জন্তুটির ঘারে রাখবে যেমন ইতিপূর্বে আনাস রাবর্ণিতবোখারির হাদিসে আলোচনা করা হয়েছে
(জবেহ করার সময় বিসমিল্লাহ বলতে হবে কারণ আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন : যার উপরআল্লাহর নাম (বিসমিল্লাহউচ্চারণ করা হয়েছে তা থেকে তোমরা আহার কর’[সূরা আনআম : ১১৮জবেহ করার সময় তাকবীর বলা মোস্তাহাব যেমন হাদিসে এসেছে:—
জাবের রাথেকে বর্ণিত ... কটি দুম্বা আনা হল রাসূলুল্লাহ নিজ হাতে জবেহ করলেন এবংবললেন ‘বিসমিল্লাহ ওয়া আল্লাহু আকবরহে আল্লাহ ! এটা আমার পক্ষ থেকে এবং আমারউম্মতের মাঝে যারা কোরবানি করতে পারেনি তাদের পক্ষ থেকে’[আবু দাউদঅন্য হাদিসেএসেছে

রাসূলুল্লাহ সাদুটি শিংওয়ালা ভেড়া জবেহ করলেনতখন বিসমিল্লাহ  আল্লাহু আকবারবললেন [সুনানে দারামী- ১৯৮৮, হাদিসটি সহিহজবেহ করার সময় বিসমিল্লাহ আল্লাহু আকবরপাঠের পরاللّهُمَّ هَذَا مِنْكَ وَلَكَ—(হে আল্লাহ এটা তোমার তরফ থেকেতোমারই জন্যবলা যেতে পারে যারপক্ষ থেকে কোরবানি করা হচ্ছে তার নাম উল্লেখ করে দোয়া করা জায়েজ আছে  ভাবে বলা—‘হে আল্লাহতুমি অমুকের পক্ষ থেকে কবুল করে নাও’ যেমন হাদিসে এসেছে আয়েশা রাথেকে বর্ণিত যেরাসূলুল্লাহ .কোরবানির দুম্বা জবেহ করার সময় বললেন :—

আল্লাহ নামেহে আল্লাহ ! আপনি মোহাম্মদ  তার পরিবার-পরিজন এবং তার উম্মতের পক্ষথেকে কবুল করে নিন [মুসলিম- ১৯৬৭]




কোরবানি সময় বলবে :

بسم الله والله أكبر، اللهم هذا عن فلان

কুরবানীকারী নিজের নাম বলবে অথবা যার পক্ষ থেকে করবানী করা হচ্ছে তার নাম বলবে 

যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
بسم الله والله أكبر، اللهم هذا عني وعن من لم يُضح من أمتي }[رواه أبو داود والترمذي]،

বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবারহে আল্লাহএটা আমার পক্ষ থেকে এবং আমার উম্মতের মধ্যেযারা কুরবানী করেনিতাদের পক্ষ থেকে (আবূ দাউদ  তিরমিযী)



যা আল্লাহ  ব্যতীত  অন্যের  নামে  জবেহ  করা  হয়  তা  হারাম  ঘোষণা  করা  হয়েছে :

তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত জন্তুরক্তশুকর মাংসআল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে জবেহকৃতপশু আর শ্বাস রোধে মৃত জন্তু,শৃংগাঘাতে মৃত জন্তু এবং হিংস্র পশুতে খাওয়া জন্তু ; তবে যা তোমরা জবেহকরতে পেরেছ তা ব্যতীতআর যা মূর্তি পূজার বেদীর উপর বলি দেয়া হয় তা এবং জুয়ার তীর দ্বারা ভাগ্যনির্ণয় করা সব হল পাপ-কার্য... [সূরা মায়িদাহ : ৩ইবনে কাসীর রহবলেছেন যা কিছু আল্লাহ ছাড়াঅন্যের নামে জবেহ করা হয় তা যে হারাম  ব্যাপারে মুসলিমদের ঐক্যমত প্রতিষ্ঠিত




কোরবানির গোস্ত ভণ্টন করা :

 কুরবানী পেশকারী ব্যক্তির জন্য সুন্নত হচ্ছে কুরবানীর গোস্ত নিজে খাওয়া, আত্মীয় ও প্র্রতিবেশীদের হাদিয়া দেয়া এবং গরীবদের সদকা করা। আল্লাহ তাআলা বলেন :

অতঃপর তোমরা তা থেকে খাও এবং দুস্থ-দরিদ্রকে থেকে দাও। (হজ : ২৮)

তিনি আরো বলেন : তখন তা থেকে খাও। যে অভাবী, মানুষের কাছে হাত পাতে না এবং যে অভাবী চেয়ে বেড়ায়-তাদেরকে খেতে দাও। (হজ : ৩৬)

উলামায়ে কেরাম বলেছেন, কুরবানীর গোস্ত তিনভাগে ভাগ করে এক তৃতীয়াংশ নিজের জন্য রাখা।এক তৃতীয়াংশ দরিদ্রদের দান করা ।এক তৃতীয়াংশ উপহার হিসেবে বন্ধু-বান্ধব,আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের দান করা মোস্তাহাব । 


পারিশ্রমিক হিসেবে এখান থেকে কসাই বা মজদুরদের কোন অংশ প্রদান করা যাবে না।




কোরবানির গোস্ত ভক্ষণ এবং সংরক্ষণ করা :

ঈদুল আজহার দিন রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খানা খেতেন না, যতক্ষণ না তিনি ঈদগাহ থেকে ফিরে আসতেন, অতঃপর তিনি কুরবানী গোস্ত থেকে ভক্ষণ করতেন।

কোরানীর গোশত যতদিন ইচ্ছে ততদিন সংরক্ষণ করে খাওয়া যাবে ।কোরানীর গোশত তিন দিনের বেশি সংরক্ষণ করা যাবে না; বলে যে হাদিস রয়েছে তাঁর হুকুম রহিত হয়ে গেছে ।তাই জতদিন ইচ্ছা ততদিন সংরক্ষণ করে রাখা যায় ।

ইবনে বুরাইদা (রাথেকে তাঁর পিতার সুত্রে বর্নিত। তিনি (পিতাবলেন,রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনআমি তোমাদের কবরজিয়ারত করতে নিষেধ করতাম। (এখন অনুমতি দিচ্ছিতোমরা কবর জিয়ারতকরতে পার। আমি ইতিপুর্বে তিনদিনের বেশি তোমাদের কুরবানীরগোশত রাখতে নিষেধ করতাম। এখন তোমাদের যতদিন ইচ্ছা রাখতেপার। এছাড়া আমি তোমাদের পানির পাত্রে নবীয তৈরি করতে নিষেধকরেছিলাম। এখন তোমরা যেকোন পানির পাত্রে তা তৈরি করতে পার। তবেনেশার বস্তু (মাদক দ্রব্যপান করোনা।( সহিহ মুসলিম- হাদিস ২১৩১ )

ইসহাক ইবন ইবরাহীম হানযালী ()...... আব্দুল্লাহ ইবন ওয়াকিদ (রাঃথেকেবর্ণিত  তিনি বলেনঃতিন দিনের পর কুরবানীর গোশত খেতে রাসুলুল্লাহ(সানিষেধ করেছেন  আব্দুল্লাহ ইবন আবু বাকর  (বলেনঃআমি বিষয়টিআমরা (রাঃ)-এর কাছে উল্লেখ করলে তিনি বলেনঃইবন ওয়াকিদ সত্যইবলেছেনঃ  আমি আয়েশা (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি যেরাসুলুল্লাহ (সা) -এর যূগেআযহার সময় বেদুঈনদের কিছু পরিবার দুর্বল হয়ে পড়লে রাসুলুল্লাহ (সা)বললেনঃ তোমরা তিনদিনের পরিমাণ জমা রেখে অবশিষ্ট গোশতগুলো সাদকাকরে দাও  পরবর্তী সময়ে লোকেরা বললোইয়া রাসুলুল্লাহ (সালোকেরা তোকুরবানীর পশুর চামড়া দিয়ে পাত্র তৈরী করছে এবং তার মধ্যে চর্বি গলাবে রাসুলুল্লাহ (সাবললেনঃ তাতে কি হয়েছে ? তারা বললোআপনিই তোতিনদিনের অধিক কুরবানীর গোশত খাওয়া থেকে নিষেধ করেছেন   অমি তোবেদুঈনদের দুরবস্হা দেখে একথা বলে ছিলাম  সুতরাং এখন তোমরা খেতেপারজমা করে রাখতে পার এবং সাদাকা করতে পার 




কোরবানি পেশকারী যা থেকে বিরত থাকবে :

যখন কেউ কুরবানী পেশ করার ইচ্ছা করে আর জিলহজ মাস প্রবেশ করে, তার জন্য চুল, নখ অথবা চামড়ার কোন অংশ কাটা হারাম, যতক্ষণ না কুরবানী করে। উম্মে সালমার হাদীসে রয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন

যখন জিলহজ মাসের দশ দিন প্রবেশ করে এবং তোমাদের কেউ কুরবানী করার ইচ্ছা করে, সে তখন থেকে চুল ও নখ কর্তন থেকে বিরত থাকবে। ইতিপূর্বে যা কর্তন করেছে, সে জন্য তার কোন গুনা হবে না
[মুসলিম, আযাহী অধ্যায়, নং ১৯৭৭]


কোরবানি দাতার পরিবারের লোক জনের নখ, চুল ইত্যাদি কাঁটাতে কোন সমস্যা নেই

কোন কুরবানী দাতা যদি তার চুল, নখ অথবা চামড়ার কোন অংশ কেঁটে ফেলে, তার জন্য উচিত তাওবা করা, পুনরাবৃত্তি না করা, তবে এ জন্য কোন কাফ্ফারা নেই এবং এ জন্য কুরবানীতে কোন সমস্যা হবে না। আর যদি ভুলে, অথবা না জানার কারণে অথবা অনিচ্ছাসত্বে কোন চুল পড়ে যায়, তার কোন গুনা হবে না। আর যদি সে কোন কারণে তা করতে বাধ্য হয়, তাও তার জন্য জায়েয, এ জন্য তার কোন কিছু প্রদান করতে হবে না। যেমন নখ ভেঙ্গে গেল, ভাঙ্গা নখ তাকে কষ্ট দিচ্ছে, সে তা কর্তন করতে পারবে, তদ্রূপ কারো চুল বেশী লম্বা হয়ে চোখের উপর চলে আসছে, সেও চুল কাঁটতে পারবে অথবা কোন চিকিৎসার জন্যও চুল ফেলতে পারবে।






ভাগে কোরবানি করা :

আবদুল্লার পুত্র জাবির থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে হজ্জ করলাম। অতঃপর সাত জনের পক্ষে একটি উট নহর করলাম এবং সাত জনের পক্ষে একটি গাভী। [মুসলিম, অধ্যায়, হাজ্জ, অনুচ্ছেদ নং ৬২, হাদীস নং ৩৫১]


পরিবারের পক্ষ থেকে কোরবানি করা :

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বয়ং তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে ছাগল কুরবানী দিয়েছেন এবং সাহাবাগণও একটি ছাগল নিজ ও নিজ পরিবারের পক্ষ থেকে যবাই করতেন, তাতে পরিবারের সদস্য সংখ্যা যাই হোক না কেন। আবু আইয়্যুব আনসারী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেনঃ ‘নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যুগে মানুষ তার ও তার বাড়ির সদস্যদের পক্ষ থেকে একটি ছাগল কুরবানী করতেন, নিজে খেতেন এবং অপরকে খাওয়াতেন’। [তিরমিযী, আযাহী অধ্যায়, নং (১৫০৫)/ইবনু মাজাহ]


মৃত ব্যক্তির পক্ষে কোরবানি :

মূলত কোরবানির প্রচলন জীবিত ব্যক্তিদের জন্য যেমন আমরা দেখি রাসূলুল্লাহ  তার সাহাবাগণনিজেদের পক্ষে কোরবানি করেছেন অনেকের ধারণা কোরবানি শুধু মৃত ব্যক্তিদের জন্য করা হবে ধারণা মোটেই ঠিক নয় তবে মৃত ব্যক্তিদের জন্য কোরবানি করা জায়েজ  একটি সওয়াবের কাজকোরবানি একটি সদকা আর মৃত ব্যক্তির নামে যেমন সদকা করা যায় তেমনি তার নামে কোরবানিওদেয়া যায়

যেমন মৃত ব্যক্তির জন্য সদকার বিষয়ে হাদিসে এসেছেঃ

আয়েশা রাথেকে বর্ণিত : এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সা.-এর কাছে এসে জিজ্ঞেস করলহে রাসূল ! আমার মাহঠাৎ ইন্তেকাল করেছেনকোন অসিয়ত করে যেতে পারেননি আমার মনে হয় তিনি কোন কথা বলতেপারলে অসিয়ত করে যেতেন আমি যদি এখন তার পক্ষ থেকে সদকা করি তাতে কি তার সওয়াব হবে ?তিনি উত্তর দিলেন : হ্যাঁ [বোখারি-১৩৩৮, মুসলিম-১০০৪]

মৃত ব্যক্তির জন্য  ধরনের সদকা  কল্যাণমূলক কাজের যেমন যথেষ্ট প্রয়োজন  তেমনি তাঁর জন্যউপকারী

এমনিভাবে একাধিক মৃত ব্যক্তির জন্য সওয়াব প্রেরণের উদ্দেশ্যে একটি কোরবানি করা জায়েজ আছেঅবশ্য যদি কোন কারণে মৃত ব্যক্তির জন্য কোরবানি ওয়াজিব হয়ে থাকে তাহলে তার জন্য পূর্ণ একটিকোরবানি করতে হবে

অনেক সময় দেখা যায় ব্যক্তি নিজেকে বাদ দিয়ে মৃত ব্যক্তির জন্য কোরবানি করেন এটা মোটেই ঠিক নয়ভাল কাজ নিজেকে দিয়ে শুরু করতে হয় তারপর অন্যান্য জীবিত  মৃত ব্যক্তির জন্য করা যেতে পারেযেমন হাদিসে এসেছেঃ

আয়েশা রা আবু হুরাইরা রাথেকে বর্ণিত যেরাসূলুল্লাহ যখন কোরবানি দিতে ইচ্ছা করলেনতখন দুটো দুম্বা ক্রয় করলেন যা ছিল বড়হৃষ্টপুষ্টশিংওয়ালাসাদা-কালো বর্ণের এবং খাসিএকটি তিনি তার  সকল উম্মতের জন্য কোরবানি করলেন ; যারা আল্লাহর একত্ববাদ  তাররাসূলের রিসালাতের সাক্ষ্য দিয়েছেঅন্যটি তার নিজের  পরিবার বর্গের জন্য কোরবানিকরেছেন [ইবনে মাজা, হাদিসটি সহিহ]



মৃত ব্যক্তি যদি তার সম্পদ থেকে কোরবানি করার অসিয়ত করে যান তবে তার জন্য কোরবানি করা ওয়াজিব হয়ে যাবে



অমুসলিমকে কোরবানির গোস্ত দেওয়া :

অমুসলিমকে তার অভাবের কারণে, প্রতিবেশী হওয়ার কারণে এমনকি তার মন জয় করার উদ্দেশ্যে তাকে কুরবানীর গোশত দান করা বা সাদাকা করা বৈধ। ‍হ্যাঁ, তবে সে যদি মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত হয়, তাহলে তার বিধান ভিন্ন। [সউদী স্থায়ী উলামা পরিষদের ফতোয়া ১১/৪২৪]



কোরবানির চামড়া :

আলী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমাকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদা কুরবানীর উটের দায়িত্ব দেন এবং আদেশ করেন, যেন আমি সেই উটের গোশত, চামড়া, পরিধেয়, সাদাকা/দান করে দেই এবং কশাইকে তা থেকে কিছু না দেই”। [মুসলিম নং ১৩১৭]

হাসান, নাখঈ, আওযায়ী এবং ইমাম আবু হানীফা (রাহেঃ) কুরবানীর চামড়া বিক্রয় করার পক্ষে মত দিয়েছেন এবং ইবনে উমার (রাযিঃ) এর সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি চামড়া বিক্রি করতেন এবং তার মূল্য সাদাকা করতেন। [মুগনী, ইবনু কুদামাহ ১৩/৩৮২]



ইসরাইলি পণ্য কেনার পর আয়নায় আপনার প্রতিফলন দেখুন, কি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন এবং কি কিন্তে সাহায্য করছেন আপনি!!!!

LOOK AT YOUR REFLECTION IN THE MIRROR, IS
WHAT YOU PURCHASE FUNDING ISRAEL?



Have you a Heart!
so, why  can't you understand

গাজার মানুষদের রক্ত! !!! কোকাকোলা

যে পণ্য বিক্রি করে, যে সব কোম্পানির অর্থের সাহায্যে ইসরাইলি দেশ আজ মুসলমানদের বুকের উপর দাড়িয়ে মুসলমানদের রক্ত পান করছে, সেই কোম্পানির পণ্য কিনে এবং বিক্রি করে আমরা এই মুসলমানরাই তাদেরকে আমাদের বুকে দাড়িয়ে থাকার ক্ষমতা এবং আমাদের রক্ত পান করার অধিকার দিয়েছি।।।
আর যখন তারা তাদের এই অধিকার ভোগ করে, ঠিক তখনই এই মুসলমানরা বলি ইহুদিরা মানুষ নয়!!!
এটাই বর্তমান মুসলিমদের অবস্থা।।।
চিন্তা করেন..........!!!
পারলে কেরে নিন ওদের এই অধিকার... এই সব পণ্য পরিহার করে, এই কোম্পানিগুলকে ঘৃণা করে, সকল মুসলমানদেরকে এ বিষয়ে জানিয়ে...








আল্লাহ্‌ তুমি আমাদের সকলের কোরবানী কবুল করো (আমীন)।







অসংখ্য ধন্যবাদ সেই সব ইসলামিক সাইটকে যাদের সাহায্য ছাড়া আমি এই পোষ্ট করতে পারতাম না ...।
KZ APU -Reborn (same Life, different World)